বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৩

রোজা যে তারিখ থেকে শুরু হতে পারে

ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম মাস রমজান। এই মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখেন। আর মাত্র তিন মাস পরেই শুরু হতে যাচ্ছে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের এই মাস। তবে, চাঁদ দেখার আগে নির্দিষ্ট করে তারিখ জানা না গেলেও জোতির্বিদ্যার সাহায্যে রমজানের সম্ভাব্য তারিখ আগেই অনুমান করা যায়।

দুবাই ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিস ডিপার্টমেন্টের (আইএসিএডি) জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে পরবর্তী রমজান মাস শুরু হবে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ (মঙ্গলবার)। শেষ হতে পারে ৯ এপ্রিল।

খালিজ টাইমসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এবার রমজান মাস ২৯ দিনে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেটি হলে আমিরাতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে আগামী ১০ এপ্রিল।

এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যেদিন রোজা শুরু হয়, বাংলাদেশে সাধারণত তার পরের দিন শুরু হয়। সেই হিসাবে, বাংলাদেশে আগামী ১৩ মার্চ থেকে রমজান মাস শুরু হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে ১১ এপ্রিল। তবে, সবকিছু চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল।

শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্ত্রীর কথা শুনে চলা পুরুষদের রোগের ঝুঁকি কম থাকে: গবেষণা

 সংসার চালানো থেকে শুরু করে সন্তান লালন-পালন এমনকি স্বামীর দেখভালের বিষয়ে স্ত্রীকেই দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেখা যায় বেশিরভাগ সময়। আবার অনেক স্ত্রী তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে গিয়ে স্বামী কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে মিশছেন কিংবা কার কার সঙ্গে কথা বলছেন ইত্যাদি বিষয়ে নজরদারিতে রাখতে শুরু করেন। আর এই নজরদারি রাখতে গিয়ে অনেক নারীই বেশ কঠোর হয়ে ওঠেন। তবে বেশিরভাগ পুরুষ চান না স্ত্রীর কোণঠাসা হয়ে জীবন কাটাতে।

তবে জানেন কি যদি আপনি স্ত্রীর কথা মেনে চলেন তাহলে কিন্তু আপনি সুস্থ থাকবেন, এমনটিই জানাচ্ছে গবেষণা। যেসব পুরুষরা তাদের স্ত্রীর কথা শুনেঞ্চলেন তারাই নাকি স্বাস্থ্যবান ও দীর্ঘজীবী হন। শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রেই নয় বরং বৈবাহিক জীবনে সুখী নারীদের মধ্যে ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি কম, বলেও জানায় গবেষকরা।

মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির (এমএসইউ) সমাজবিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে করা একটি সমীক্ষা দেখা গেছে, স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে থাকা পুরুষদের মধ্যে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম। এমন পুরুষরা দীর্ঘজীবীও হন অন্যদের চেয়ে বেশি।

এই গবেষণার প্রধান গবেষক হুই লিউ বলেন, ‘বেশিরভাগ স্ত্রীই তার স্বামীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান। নিয়মিত স্বামীর স্বাস্থ্যের নজরদারি করনে তারা।’

‘সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার দিকেও অনেক স্বাস্থ্য সচেতন স্ত্রীরা খেয়াল রাখেন। এর ফলেই সুস্থ থাকেন স্বামী। যদিও অনেক স্বামীই স্ত্রীর এমন অনুশাসন পছন্দ করেন না। তবে এতে কিন্তু লাভ পুরুষেরই।’

গবেষণাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭-৮৫ বছর বয়সী ১২২৮ জন বিবাহিত ব্যক্তির উপর পরিচালিত হয়। গবেষণায় আরও দেখা যায়, একটি অসুখী বিবাহ খারাপ স্বাস্থ্য ও কম দীর্ঘায়ুর কারণ হতে পারে। অন্যদিকে সুখী পরিবারের দম্পতিরাও স্বাস্থ্যগতভাবে সুস্থ থাকেন ও দীর্ঘজীবী হন।

গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, অত্যধিক নিয়ন্ত্রণ স্বামী বা স্ত্রী কারও জন্যই ভালো নয়। সংসারের শান্তি বজায় রাখতে স্বামী বা স্ত্রী একে অন্যকে নিয়ন্ত্রণ করতেই পারেন, তাই বলে অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ করতে যাবেন না।

মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩

শীতে পেট্রোলিয়াম জেলির নানাবিধ ব্যবহার

 শীত আসতেই বাতাসের আর্দ্রতা কমতে শুরু করেছে। টান পড়ছে ত্বক, ঠোঁটে। এই সময় নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা জরুরি। তবে পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহারেরও কিছু নিয়ম রয়েছে।

চলুন জেনে নিই-

শুষ্ক ত্বকের স্বস্তি: পেট্রোলিয়াম জেলির অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল রুক্ষ-শুষ্ক ত্বককে স্বস্তি দেওয়া। হাতের কনুই হোক অথবা পায়ের গোড়ালি, শুষ্কতা ঠেকাতে এই এটি অসামান্য। এমনকি তীব্র শীতেও পেট্রোলিয়াম জেলি আপনার ত্বকের জন্য ঢাল হিসেবে কাজ করে ময়েশ্চার ধরে রাখে এবং ত্বককে করে তোলে নরম ও কোমল।

ত্বক ময়েশ্চারাইজ করার জন্য: ত্বক পরিষ্কার করার পরে অল্প পরিমাণে পেট্রোলিয়াম জেলি আঙুলে নিয়ে ত্বকে আলতো করে লাগান। এটি একটি প্রতিরক্ষামূলক স্তর তৈরি করে ত্বকে যা আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে নরম ও কোমল।

ফাটা ঠোঁটের যত্নে: ফাটা ঠোঁটের ঝটপট সমাধান দিতে পারে উপকারী পেট্রোলিয়াম জেলি। এক ফোঁটা পছন্দের এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসাজ করুন ত্বকে। ঠোঁটের শুষ্কতা দূর হবে।

হাত ও পায়ের যত্নে: শীতে হাত ও পায়ের ত্বকও হয়ে পড়ে রুক্ষ। রাতে ঘুমানোর আগে হাত এবং পায়ে পেট্রোলিয়াম জেলি ম্যাসাজ করুন। পায়ে মোজা পরে নিতে পারেন। পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে সামান্য গ্লিসারিন মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন গোড়ালিতে। ফাটবে না গোড়ালি।

ঠোঁটের প্রাণ ফেরানো: রুক্ষ, শুষ্ক এবং ফাটা ঠোঁট খুবই সাধারণ একটি সমস্যা, যা বিশেষত শীতকালে বেশি দেখা যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি। এটি সুরক্ষার একটি আবরণ তৈরি করে ময়েশ্চার ধরে রাখে, ফলে ঠোঁট ফাটা দূর হয়ে ঠোঁটের কোমল ভাব ফিরে আসে।

ত্বকের দীপ্তি পুনরুদ্ধার: আমাদের ত্বক প্রতিদিন নানা ধরনের উপাদানের সংস্পর্শে আসে, ফলে মুখ এবং হাত স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও হাইড্রেশন হারাতে থাকে। পেট্রোলিয়াম জেলির ভারী আবরণ এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।

প্রতিদিনের স্কিনকেয়ার রুটিনের শেষ ধাপ হিসেবে সপ্তাহে অন্তত ২-৪ দিন সারারাতের জন্য এটি ব্যবহার করলে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। কয়েকদিন ধরে নিয়মিতভাবে এটি ব্যবহার করলে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যায়। কোমলতা, দীপ্তি ও প্রাণবন্ততা ফিরে আসে।

মেকআপ রিমুভার: আপনি কি জানেন পেট্রোলিয়াম জেলি মেকআপ রিমুভার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। মেকআপের ওপর পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করে কয়েক মিনিট অপেক্ষা করুন। আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন এবং নিজের পছন্দমতো ক্লিনজার ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্যস! এভাবে আপনি খুব সহজেই আপনার মেকআপ উঠিয়ে ফেলতে পারবেন।


তৃতীয় বিয়ে করছেন অভিনেত্রী শুভশ্রীর বোন

 টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী। তার বড় বোন দেবশ্রী গাঙ্গুলীও পরিচিত পেয়েছেন অভিনেত্রী হিসেবে। কাজ করেছেন সিনেমায়

ব্যক্তিজীবনে ২০২১ সালে সহকর্মী অমিতকে বিয়ে করেন তিনি। কিন্তু সেই সংসার খুব বেশিদিন টেকেনি। বিয়ের দশদিন পরই স্বামীর সংসারে অত্যাচারের শিকার হন দেবশ্রী। যা গড়ায় মামলা পর্যন্ত। একপর্যায়ে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন এই দম্পতি।

দেবশ্রীর জীবনে এটা ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। প্রথম সংসারে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে তার। কিন্তু সেই স্বামী সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। একমাত্র ছেলেও মায়ের সঙ্গে থাকেন না। বিদেশে পড়ালেখা নিয়েই ব্যস্ত সময় কাটে তার।

প্রথম সংসার ভাঙনের পর সুখের সন্ধানে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন দেবশ্রী। কিন্তু সুখ আর কপালে জোটেনি। শোনা যাচ্ছে, নতুন করে আবারও গাঁটছড়া বাঁধার চিন্তা করেছেন এই অভিনেত্রী।

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়0, নিজের জীবনে আবারও ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পেয়েছেন দেবশ্রী। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন তারা। দেবশ্রীর হবু বর পেশায় একজন ব্যবসায়ী। শোবিজ অঙ্গনের সঙ্গে তার খুব একটা যোগাযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে অভিনেত্রী বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি।

প্রসঙ্গত, ‘জল থই থই ভালোবাসা’ সিরিয়ালে অপরাজিতা আঢ্যর বোনের চরিত্রে অভিনয় করছেন দেবশ্রী। ‘ফাটাফাটি’ সিনেমাতেও দেখা মিলেছে তার। সম্প্রতি বেশ কিছু ওয়েব সিরিজেও কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী।

জায়েদের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাবে যা বললেন ইধিকা

 ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়ক শাকিব খানের সঙ্গে অভিনয় করে এ দেশে পরিচিত পান ওপার বাংলার অভিনেত্রী ইধিকা পাল। একটি সিমেনায় শাকিবের সঙ্গে জুটি বাঁধার পর একাধিকবার ঢাকায় পা রেখেছেন তিনি।

সম্প্রতি আবারও ঢাকায় দেখা মিলেছে ইধিকার। ধানমন্ডিতে একটি পণ্যের শোরুম উদ্বোধন করেছেন তিনি। পাশাপাশি ফরিদপুরে নাকি একটি তথ্যচিত্র শুটিংয়েও অংশ নিয়েছেন।

এসবের মাঝেই রাজধানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ইধিকা। যেখানে তাকে অভিনেতা জায়েদ খান প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। ইধিকাকে জিজ্ঞেস করা হয়, জায়েদ খানের সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব পেলে করবেন কি না? এর জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ডেফিনেটলি! প্রস্তাব আগে পাই, তারপরে ভেবে দেখব।

ইধিকার কথায় স্পষ্ট, জায়েদ খানের সঙ্গে পর্দায় কাজ করার সুযোগ পেলে অবশ্যই করবেন তিনি। তবে একটু ভেবেও দেখবেন।

এদিকে ওপার বাংলার এই অভিনেত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়, জায়েদ খানকে চেনেন কি না? জবাবে ইধিকা জানান, অবশ্যই চিনি। কেন চিনব না? তার প্রচুর নিউজ আমি দেখেছি। তিনি তো বেশ পরিচিত। আমাদের কলকাতার সায়ন্তিকা দিদির সঙ্গেও অভিনয় করেছেন। তখনও প্রচুর নিউজ দেখেছি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশি বেশ কিছু সিনেমায় কাজের বিষয়ে কথা চলছে ইধিকার। খুব শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন তিনি।

https://www.toprevenuegate.com/fn8ndykir?key=797528687db8901fef00e5c38a3155dd

দোয়া চাইলেন পরীমণি

 ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিখেছেন, আগামীকাল দারুন কিছু হবে ইনশাআল্লাহ। দোয়া করবেন।

রোববার দিনগত রাত ২টা ৪৩ মিনিটে তিনি ফেসবুকে এ পোস্ট লিখেছেন। তবে দারুণ কী হতে যাচ্ছে সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি।

এরপর এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আর কোনো পোস্ট দেননি পরীমণি। এ পোস্ট শেয়ার করেছেন পরীমণি বেশ কয়েকজন ফলোয়ার।

গত ২৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরীমনির নানা শামসুল হক গাজীর মৃত্যু হয়েছে। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে ছিলেন তার নানা।

ঢাকাই সিনেমার এই চিত্রনায়িকা গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাজের উদ্দেশে বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর। গত বছরের ২২ জানুয়ারি দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে ঘরোয়া আয়োজনে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি হয় তাদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান।


দেশে নিরাপদ টয়লেট সবচেয়ে কম বরিশালে

 সারাদেশে ৫৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ পরিবারে নিরাপদ টয়লেট বা শৌচাগার সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে কম ৩৭ দশমিক ৯২ শতাংশ রয়েছে বরিশাল বিভাগে। আর সবচেয়ে বেশি নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা ঢাকাতে। বিভাগটিতে এ হার ৬৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।


বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) গৃহগণনা ও জনশুমারির জাতীয় প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।

যেসব শৌচাগারে ফ্ল্যাশ করে বা পানি ঢেলে নিষ্কাশন ব্যবস্থা রয়েছে, বিবিএসের প্রতিবেদনে নিরাপদ বলতে এসব শৌচাগারকে বোঝানো হয়েছে। বিবিএস ২০২২ সালে সারাদেশে জনশুমারি চলাকালে খানা জরিপ থেকে এসব তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে।

বিবিএস বলছে, দেশে মোট পরিবার রয়েছে চার কোটি দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬৭টি। এর মধ্যে নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা রয়েছে দুই কোটি ২৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৪টি পরিবারে। অনিরাপদ শৌচাগার রয়েছে ৫১ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৮টি পরিবারে। বাকি পরিবারগুলোতে রয়েছে কাঁচা ও আধাকাঁচা টয়লেট সুবিধা।

নিরাপদ শৌচাগার ব্যবহারে সবচেয়ে এগিয়ে থাকা ঢাকা বিভাগের পর রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। এই বিভাগে ৫৮.৮৮ শতাংশ পরিবারে নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা রয়েছে। তৃতীয় স্থানে থাকা রাজশাহী বিভাগে এই হার ৫৫.২৬ শতাংশ। খুলনা বিভাগের ৫৪.৯২%, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৮.৫৯ শতাংশ পরিবারে নিরাপদ শৌচাগার সুবিধা রয়েছে।

বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত বলছে, দেশের মানুষের একক শৌচাগার সুবিধা রয়েছে ৭৩.২৫ শতাংশ পরিবারে। শহরে ৭১.৮১ শতাংশ পরিবারের শৌচাগার সুবিধা রয়েছে। গ্রামে ৭৩.৯২ শতাংশ পরিবারের রয়েছে এই সুবিধা। দেশের ১.২৩ শতাংশ পরিবারের কোনো শৌচাগার সুবিধা নেই।

জানতে চাইলে ওয়াটারএইডের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক খায়রুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, যেহেতু আমরা এখন উন্নত দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি, সেহেতু সে জায়গায় সরকারকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত নিরাপদ টয়লেট ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, নিরাপদ টয়লেট ব্যবস্থাপনা না হলে নানা ধরনের সংক্রামক রোগ ছড়াতে থাকবে।


সোমবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৩

মারা গেছেন সিআইডি'খ্যাত অভিনেতা ফ্রেডরিক্স

 অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন সিআইডি'খ্যাত অভিনেতা দীনেশ ফাদনিস মারা গেছেন। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ১২টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।


সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, কয়েক দিন আগে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মুম্বাইয়ের তুঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় দীনেশকে। তারপর থেকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আজ তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

প্রথমে জানা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দীনেশ। কিন্তু এ তথ্য সঠিক নয় বলে জানান সিআইডির আরেক অভিনেতা নয়ানন্দ শেঠি। গতকাল এ অভিনেতা পিঙ্কভিলাকে বলেন, এটি হার্ট অ্যাটাক নয়; তার লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে দ্রুত তাকে তুঙ্গা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। গত দুই দিন তার শারীরিক অবস্থা অনেক বেশি অশঙ্কাজনক ছিল। তবে এখনো তার শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি। আশা করছি, খুব শিগগির সে সুস্থ হয়ে ওঠবে।

মূলত, ঔষুধের প্রতিক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দীনেশ। তা জানিয়ে দয়ানন্দ শেঠি বলেন, ‘দীনেশের অন্য রোগের চিকিৎসা চলছিল। সেসব ঔষুধের প্রতিক্রিয়ায় দীনেশের লিভার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য খুব ভেবেচিন্তে ঔষুধ খাওয়া উচিত।’

প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে প্রচার শুরু হয় সিআইডির। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ সিরিয়ালের ইন্সপেক্টর ফ্রেডরিক্স বা ফ্রেডি চরিত্রে অভিনয় করেন দীনেশ ফাদনিস। তার চরিত্রটি টেলিভিশন দর্শকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নব্বই দশক থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ভারতীয় টেলিভিশনের সবচেয়ে জনপ্রিয় শোগুলোর একটি সিআইডি।


পুরুষেরা আসলে কি চায়?

 

যখন একজন মুসলিম পুরুষ বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজেন তখন কোন জিনিস গুলো তার মনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায়?

একটা কঠিন প্রশ্ন। কারণ যেটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাওয়ার কথা সেটা হল রাসুলুল্লাহ (সা:) যেটা  শিখিয়ে দিয়েছেন, যেমন একজন ধার্মিক নারী।

কিন্তু এ সমাজে বেড়ে ওঠার সাথে সাথে আমরা মিডিয়াতে যেভাবে নারীকে উপস্থাপিত হতে দেখি, সেটা আমাদের জীবন সঙ্গী সংক্রান্ত চিন্তাগুলোকে প্রভাবিত করে। সুতরাং বাস্তবে প্রায় সব পুরুষই যখন তার জন্য একজন জীবন সঙ্গীকে খুঁজতে যান, তখন প্রথম যে জিনিসটি তাদের মাথায় আসে সেটা রাসুলুল্লাহ (সা:) যেটা আপনাকে শিখিয়ে দিয়েছেন সেটা অবশ্যই নয়। সুতরাং অবশ্যই আপনি যখন পার্টনার খোঁজেন তখন শারীরিক ভাবে একজন আকর্ষণীয় নারীকেই খোঁজেন। এটাই প্রথম যা আপনার মনে স্থান পায়।

আপনি যাকে পছন্দ করেন তাকে অন্য সবাই আকর্ষণীয় হিসেবে ভাবতে নাও পারে। কিন্তু আপনার চোখে তাঁকে শারীরিক ভাবে আকর্ষণীয় হিসেবে উপযুক্ত হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যবশত পুরুষরা যা ই বলেন না কেন প্রায় সবাই সব কিছুর আগে শারীরিক সৌন্দর্যের দিকেই ঝুঁকে থাকেন।

কিন্তু আমি এটাকে খারাপ বলে মনে করি না। বরং আপনাকে অন্য বিষয়গুলোর প্রতিও গুরুত্বারোপ করতে হবে। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে একজন পুরুষ যদি দশজন আকর্ষণীয় নারীকে দেখেন, তাহলে তাদের মধ্য থেকে তাঁকে রাসুলুল্লাহ (সা:) এর শিক্ষা অনুযায়ী উপযুক্ত জনকে বেছে নিতে হবে।

তার মানে, মূলত যদি কেউ সুন্দর হয় কেবল তখনই শুধু আপনি তার ধর্মীয় গুনাবলীর দিকে গুরুত্ব দিবেন?

(হাসি!) হ্যাঁ! পাগলামিই বটে তাই না?, না! আমি মনে করিনা যে এটা পাগলামি। আমি মনে করি এটাই স্বাভাবিক। অবশ্যই আপনি কিছু ধার্মিক নারীর মধ্য থেকে সবচেয়ে সুন্দরী একজন কে বেছে নিতে পারেন।

তবে সেটা কিন্তু ঘটে না, সাধারণত আমরা (মেয়েরা) চাই সবাইই (ছেলেরা) ধার্মিক হোক। কিন্তু অনেক ছেলেদের ক্ষেত্রে কি ঘটে? যখন তারা একজন সুন্দরী নারীকে দেখে তারা জাস্ট আশা করে যে মেয়েটি ধার্মিক হবে। যদি সে ধার্মিকতাকেই প্রাধান্য দেয়ার প্রতি মনস্থ করে, তবুও সুন্দরী নারীর সাক্ষাৎ তাকে তার স্ট্যান্ডার্ডটাকে (ধার্মিকতার দিক থেকে) কমিয়ে দেয়, সে ধার্মিকতার দিকটায় ছাড় দিতে প্রস্তুত হয়ে যায়। সে ভাবতে থাকে যে সে মেয়েটিকে রিলিজিয়াস বানিয়ে নিতে পারবে।

সুতরাং ধার্মিকতাটা যেহেতু এক ধরণের অদৃশ্যমান ব্যাপার সেহেতু আপনি কি এটা নিয়ে বড়জোর আশাই করতে পারেন?

না! কারণ ধার্মিকতাটা অদৃশ্য কোনও ব্যাপার নয়। আমি মনে করি এক দিক দিয়ে এটা অদৃশ্যমান ব্যাপারও বটে, যেমন একজন মানুষের হৃদয়ের অকৃত্রিমতা, এটা কিন্তু অদৃশ্য ব্যাপার। কিন্তু অনেক পুরুষই যেটা করতে চেষ্টা করেন সেটা হল, তারা ভাবেন যে একজন সুন্দরী নারী মোটামুটি ধার্মিক হলেই বিয়ের জন্য উপযুক্ত। কিন্তু তাদের জীবন অবশেষে একধরনের শূন্যতায় ভরে থাকে। তারা নিজদেরেকে বুঝায় “মেয়েটির মধ্যে সম্ভাবনা আছে” কিন্তু বাস্তবে সেটা আর ঘটে না, তখনি থমকে যান তারা পরিণত হন অতি কচলানো লেবুর মতো।

আসলে এটা হতে বাধ্য, কারণ তারা ধার্মিকতার ব্যাপারে আপোষ করেছেন এবং সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিয়েছেন। এখন তাদেরকে সেটার উপরই কাজ করতে হবে। অতি-কচলানো লেবুর সাথে চিনি মিশিয়ে তাকে সুমিষ্ট বানানোর প্রচেষ্টা। পুরুষের পুরুষত্ব বাচক অহংবোধ নিজের ভুল গুলো স্বীকার করার চাইতে তাকে নিজের পছন্দমত সিদ্ধ্যান্ত নিতে প্রভাবিত করবে।

কিন্তু আমরা যদি মুল প্রশ্নে ফিরে যাই, যে পুরুষরা আসলে কি চায়? সাধারণত আপনারা এমন নারী কে চান যে  স্বাস্থ্য সচেতন এবং সে তার নিজের টেক কেয়ার করতে পারবে, যে তার শারীরিক অবয়বের প্রতি যত্নশীল হবে। আপনারা এমন কাউকে পছন্দ করবেন না যে দৃশ্যত কেয়ারই করে না কিছু। মানুষ তথা পুরুষ ও নারী উভয়েই স্বভাবতই দীর্ঘায়ুর প্রতি আসক্ত যাতে তারা সন্তান নিতে পারে এবং সুখী ও স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন করতে পারে।

নিচের প্রশ্নোত্তর গুলোতে পুরুষরা কি চায় তা ফুটে উঠেছে: 

  • আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে বলুন? আপনি একজন ধার্মিক স্ত্রীর ক্ষেত্রে কি কি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন?

একজন সাথী… এমন একজন যিনি সংসারকে রাসুলুল্লাহর (স:) সুন্নাহর সাথে টিকিয়ে রাখবেন। কিন্তু সুন্নাহ বুঝার ক্ষেত্রে সম-মনষ্ক হওয়া ও ইমানের মৌলিক ভিত্তিটায় মিল থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আপনার বিয়ে এবং ভবিষ্যতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ-কর্মকে আপনি সেই ভিত্তিটা এখন এমন একটা প্রশ্ন করবো যা সম্পর্কে অধিকাংশ নারীরাই সচেতন: শারীরিক অন্তরঙ্গতা ও উপভোগ্যতার পাশাপাশি কোন জিনিসটিকে আপনি বিয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন?

স্ত্রীর কাছে সবচেয়ে অভূতপূর্ব যে জিনিসটি একজন পুরুষ চাইতে পারে তা হল স্ত্রীর সহচর্য, সুন্দর চরিত্র, এবং সঠিক ভাবে সন্তানাদিকে প্রতিপালন করা। একজন পুরুষ হিসেবে আপনি বাইরে কাজে যাবেন পরিবার চালানোর জন্য। সুতরাং যখন আপনি কাজের জন্য বাইরে থাকেন তখন ঘরে এমন এক নারী থাকা যে কিনা আপনার সন্তানাদিকে শিক্ষা দিচ্ছে এবং প্রতিপালন করছে এটা সবচেয়ে বড় চাওয়া-পাওয়া গুলোর মধ্য অন্যতম।

  • সহচর্য বলতে আপনি কি বুঝেন?

এটা এমন, যে যখন আপনার একজন ভাই কিংবা বোন থাকে, যার সাথে আপনি বেড়ে উঠেন। এমনই একটা কিছু। যে সব সময় পাশে থাকে। আপনি যা কিছু করেন সে সবই পছন্দ করবে এমন না, কিন্তু আপনি যা করেন তা সে উপভোগ করে, কারণ একটাই, সেটা হল যে আপনি এটা করছেন। যেমন আমার স্ত্রী কিছু খাবার খেতে শুরু করার আগে আমি সেগুলো পছন্দ করতাম না। তাঁকে দেখে আমি সেগুলো পছন্দ করতে শুরু করি, আমি চিন্তা করলাম ট্রাই করে দেখিনা কেন? এটাই সত্যিকার সহচর্যের সবচেয়ে উপভোগ্য দিক। এমন কিছু জিনিস কে পছন্দ করা, কারণ আপনার প্রিয়জন সেটা পছন্দ করে। যখন আপনি আন্তরিকতা ও ভালোবাসার সাথে কিছু করেন তখন কিছু কাজ যেমন একসাথে খাওয়া এমনকি একসাথে রান্না করাটাও অনেক উপভোগ্য হয়ে উঠে।

  • তাহলে নারীর ব্যক্তিগত অর্জনের ব্যাপারটা কেমন? এটা কি পুরুষের কাছে গুরুত্বপূর্ণ?

এই ব্যাপারটিতে পুরুষদের মধ্যে সব রকমের মতামতই পাওয়া যায়। কেউ চায় এমন নারী যার অর্জন (শিক্ষা, প্রফেশনাল এচিভমেন্ট ইত্যাদি) খুব ভালো। কেউ এমন নারী চায় যাকে সে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। কেউ চায় এমন নারী যার কোনও উচ্চাভিলাষ (ambitions) নেই। এটা হচ্ছে পুরুষের দুর্বলতা, কারণ রাসুলুল্লাহ (স) পরিবারে নিয়ন্ত্রক ছিলেন না এবং তার স্ত্রীগন ছিলেন খুবই উচ্চাভিলাষী (ambitious)। যদি আমরা হযরত আয়িশা (রা) ও খাদিজা (রা) এর দিকে তাকাই আমরা তাদের মধ্যে উচ্চাভিলাষের অভাব দেখি না। তারা খুবই বুদ্ধিমতী ও সুদক্ষ ছিলেন।

  • কিন্তু কেন পুরুষরা উচ্চাভিলাষহীন স্ত্রী চাইবে?

সম্ভবত তারা এটা করে নিজেকে শক্তিশালী ভাবতে পারে। কিন্তু ব্যক্তিগত ভাবে আমি এই মানসিকতাটা বুঝতে পারি না। আমার বেলায়, আমি চাই যখন আমি ঘরে ফিরি তখন আমার স্ত্রী ঘরে থাকবে আমাকে সম্ভাষণ জানানোর জন্য। সে আমার দেখ-ভাল করে এটা আমি ভালবাসি এবং এটা পুরুষের অন্তরাত্মায় প্রশান্তি এনে দেয়। এটা আমাকে শক্তি যোগায় যে আমার স্ত্রী আমাকে সম্মান ও ভালোবাসার পাত্র হিসেবে গ্রহণ করেছে এবং সেটা প্রকাশ্য কাজের মাধ্যমে ব্যক্ত করছে। এটা পারস্পরিক ভালোবাসা ও সম্মানের সৃষ্টি করে।

  • আপনি কি মনে করেন যে আপনার স্ত্রী তার অর্জনের/সফলতা/ক্যারিয়ারের ক্ষেত্রে কি করলো বা না করলো সেটায় আসলে তেমন কিছুই আসে যায় না? তবে যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটা হল সে আপনার জন্য কি করছে সেটা?

না, সবার জন্য ব্যাপারটা সমান না। অনেকে তার স্ত্রীর সফলতা বা অর্জন দেখে খুশি হয় এবং তারা খুব হেল্পিং হয়। বিশেষ করে তার স্ত্রী যেটা করছে সেটা যদি মুসলিম কমিউনিটির জন্য ভালো কিছু হয়।

  • আপনি যখন অফিস বা কাজ শেষে ফিরেন এবং ঘরে প্রবেশ করার জন্য দরজা খোলার মুহূর্তে কোন জিনিসটির জন্য আপনি মুখিয়ে থাকেন?

পুরুষেরা সাধারণত উত্তর দেয় যে “ঘরে ফিরে আমি হাসিমুখে সম্ভাষণ পেতে পছন্দ করি। আমি এসে ঘরটা গোছালো ও সুন্দর ঘ্রানময় দেখতে পছন্দ করি। আমি দেখতে চাই আমার স্ত্রীকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে, আমি তার মধ্যে সুন্দর পারফিউমের গন্ধ পেতে চাই। আমি ঘরে ফিরে রিল্যাক্সে থাকতে চাই। আমি ঘরে ফিরে আমার স্ত্রীকে কুরআন পাঠরত দেখতে পছন্দ করি। ঘরে ফিরে আমার স্ত্রীকে তার পছন্দের কাজে নিমগ্ন দেখতে পছন্দ করি।”

  •  নারীর ভূমিকার ব্যাপারে আপনি কি মনে করেন?

অনেকেই এটা বলতে বুঝে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, এবং রান্না-বান্নাকে। কিন্তু সত্যি বলতে কি, নারীর ভূমিকা বলতে আমি কখনও এমনটি ভাবিনি। তবে অবশ্যই একজন ভালো নারী রান্নাটা ভাল করবে। আপনাকে সুখী করতে সে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না করবে। কিন্তু আমি মনে করি না যে নারীর ভূমিকার জায়গাটা এটাই। আমি নারীকে সঙ্গী হিসেবেই দেখি। ব্যক্তিগতভাবে আমি রান্না করা পছন্দ করি। আমি এটা খুবই উপভোগ করি তাই আমিও রান্না করি।

  • আপনার মতে বিয়ের ক্ষেত্রে নারীদের সবচেয়ে বড় ভুলটি কি বলে আপনি মনে করেন?

আসলে আমি মনে করি এটা এভাবে বলা গুরুত্বপূর্ণ যে “মানুষ ( শুধু নারী নয়) সবচেয়ে বড় যে ভুলটি করে”, এর মধ্যে নারীও অন্তর্ভুক্ত। আমি মনে করি ভুলটা হল আমরা অপরজনকে এমন ভাবে দেখি যেন সে একই জেন্ডারের মানুষ।

  • হরণ কি হতে পারে?

পুরুষরা নারীদেরকে নিজেদের মতো করে ভাবতে আশা করে। পুরুষদের মধ্যে সোজাসাপ্টা মুল কথায় আসার একটা প্রবণতা কাজ করে অন্যদিকে মেয়েরা চায় তার কথাগুলো কেউ শুনুক। এটা সবারই জানা। ছেলেরা সবসময় মেয়েরা কথা বলার সময় মন্তব্য করে বসে, যেখানে তাদের শুধু শুনে যাওয়া উচিৎ। কিন্তু তারা সবকিছুর সমাধান দেয়ার চেষ্টা করে এবং প্রত্যেকটি সমস্যাকেই আক্রমণ করে থাকে।

  •  নারীদের ভুল সম্পর্কে কি বলবেন?

জাস্ট পুরুষের বিপরীতটা। নারীরা অন্যান্য নারীদের ব্যাপারে যেভাবে চিন্তা করে পুরুষদের সম্পর্কেও সেভাবেই চিন্তা করে। আর পুরুষরাও যেভাবে অন্যান্য পুরুষদের ব্যাপারে চিন্তা করে সেভাবেই নারীদের ব্যাপারে চিন্তা করে। কারণ আমরা শুধু আমাদের ব্যাপারেই অভিজ্ঞ, যেমন মেয়েরা মেয়েদের ব্যাপারেই শুধু অভিজ্ঞ। আসলে মেয়েদের উচিৎ ছেলেদের ক্ষেত্রে ছেলেদের জায়গা হতে চিন্তা করা আর মেয়েদের উচিত ছেলেদের ক্ষেত্রে ছেলেদের জায়গা থেকে চিন্তা করা।

রোজা যে তারিখ থেকে শুরু হতে পারে

ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম মাস রমজান। এই মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখেন। আর মাত্র তিন মাস পরেই শুরু হতে যাচ্ছে রহমত, বরকত ও...