বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩

অহংকার থেকে মুক্তির উপায়

 প্রশ্ন:

কিভাবে একজন মানুষ অহংকার থেকে মুক্তি পেতে পারে?


উত্তর:

আলহামদুলিল্লাহ।

এক: অহংকার একটি খারাপ গুণ। এটি ইবলিস ও দুনিয়ায় তার সৈনিকদের বৈশিষ্ট্য; আল্লাহ যাদের অন্তর আলোহীন করে দিয়েছেন। সর্বপ্রথম আল্লাহ ও তাঁর সৃষ্টির উপর যে অহংকার করেছিল সে হচ্ছে— লানতপ্রাপ্ত ইবলিস। যখন আল্লাহ তাকে নির্দেশ দিলেন— আদমকে সেজদা কর; তখন সে অসম্মতি জানিয়ে বলল: “আমি তার চেয়ে উত্তম। আমাকে বানিয়েছেন আগুন দিয়ে; তাকে বানিয়েছেন মাটি দিয়ে।” আল্লাহ তাআলা বলেন: “আর আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করলাম, এরপর আকার-অবয়ব তৈরি করেছি। অতঃপর আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম – আদমকে সেজদা কর; তখন সবাই সেজদা করল। কিন্তু ইবলিস সেজদাকারীদের মধ্যে ছিল না। আল্লাহ বললেন: আমি যখন তোকে সেজদা করার আদেশ দিলাম তখন কিসে তোকে সেজদা করতে বাধা দিল? সে বলল: আমি তার চেয়ে উত্তম। আমাকে বানিয়েছেন আগুন দিয়ে; তাকে বানিয়েছেন মাটি দিয়ে। </span>” [সূরা আরাফ, আয়াত: ১১-১২]

তাই অহংকার ইবলিসি চরিত্র। যে ব্যক্তি অহংকার করতে চায় সে জেনে রাখুক সে শয়তানের চরিত্র গ্রহণ করেছে। সে সম্মানিত ফেরেশতাদের চরিত্র গ্রহণ করেনি, যারা আল্লাহর আনুগত্য করে সেজদায় লুটিয়ে পড়েছিল। অহংকার অহংকারীর জান্নাত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ, ইজ্জতের মালিক আল্লাহকে সরাসরি দেখতে না পাওয়ার কারণ। দলিল হচ্ছে এ দুইটি হাদিস: আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন: “যার অন্তরে বিন্দু পরিমাণ অহংকার আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। একলোক বলল: যে কোন লোক পছন্দ করে তার জামাটা ভাল হোক, তার জুতাটা ভাল হোক? তিনি বললেন: নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর; তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। অহংকার হচ্ছে – সত্যকে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা। ” [সহিহ মুসলিম ]

সত্যকে উপেক্ষার অর্থ: সত্য জেনেও সেটাকে প্রত্যাখ্যান করা।
মানুষকে তুচ্ছ করার অর্থ: মানুষকে ছোট করা, হেয় করা।

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ কাপড় ঝুলিয়ে হাঁটবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না। আবু বকর (রাঃ) বললেন: আমার কাপড়ের একটা অংশ ঝুলে পড়ে যায়; আমি বারবার সেটাকে টেনে নেই। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তুমি তো অহংকারবশতঃ সেটা কর না। ” [সহিহ বুখারী – ৩৪৬৫]

দুই: অহংকার এমন একটি গুণ যা শুধু আল্লাহর জন্যই প্রযোজ্য। যে ব্যক্তি এ গুণ নিয়ে আল্লাহর সাথে টানাটানি করে আল্লাহ তাকে ধ্বংস করে দেন, তার প্রতাপ নস্যাৎ করে দেন ও তার জীবনকে সংকুচিত করে দেন। আবু সাঈদ খুদরি (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তাঁরা বলেন, “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, আল্লাহ তাআলা বলেছেন: সম্মান হচ্ছে- আল্লাহর পরনের কাপড়; আর অহংকার হচ্ছে- আল্লাহর চাদর। যে ব্যক্তি এটা নিয়ে আমার সাথে টানাটানি করে আমি তাকে শাস্তি দেই। ” [ সহিহ মুসলিম – ২৬২০]

নববী বলেন: সহিহ মুসলিমের সব কপিতে এভাবে আছে। ازاره ও رداؤه শব্দদ্বয়ের ه জমির (সর্বনাম) দ্বারা আল্লাহকে বুঝানো হচ্ছে। এখানে বাক্যের কিছু অংশ উহ্য রয়েছে সেটা হচ্ছে-قال الله تعالى : ومن ينازعني ذلك أعذبه ( অর্থঃ আল্লাহ বলেন: যে ব্যক্তি সেটা নিয়ে আমার সাথে টানাটানি করবে আমি তাকে শাস্তি দিব)

আমার সাথে ‘টানাটানি’ করবে এর অর্থ- এ গুণ লালন করবে; ফলে সে অংশীদার এর পর্যায়ে পড়বে। এটি অহংকারের কঠিন শাস্তি ও অহংকার হারাম হওয়ার স্পষ্ট ঘোষণা। [শারহু মুসলিম (১৬/১৭৩)]

যে ব্যক্তি অহংকার করতে চায় ও বড়ত্ব দেখাতে চায় আল্লাহ তাকে নীচে ছুড়ে ফেলে দেন ও বেইজ্জত করেন। যেহেতু সে তার মূলপরিচয়ের বিপরীতে গিয়ে কিছু করার চেষ্টা করেছে তাই আল্লাহ তাকে তার ইচ্ছার বিপরীতে শাস্তি দিয়ে দেন। বলা হয়: শাস্তি আমলের সম জাতীয় হয়ে থাকে। যে ব্যক্তি মানুষের উপর অহংকার করে কিয়ামতের দিন তাকে মানুষের পায়ের নীচে মাড়ানো হবে। এভাবে আল্লাহ তাআলা অহংকারের কারণে তাকে লাঞ্ছিত করবেন। আমর ইবনে শুয়াইব তার পিতা থেকে তিনি তার দাদা থেকে বর্ণনা করেন তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন তিনি বলেন: “কিয়ামতের দিন অহংকারীদেরকে ছোট ছোট পিপীলিকার ন্যায় মানুষের আকৃতিতে হাশরের ময়দানে উপস্থিত করা হবে। অপমান ও লাঞ্ছনা তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে। তাদেরকে জাহান্নামের একটি জেলখানায় একত্রিত করা হবে, যার নাম হবে “বুলাস। আগুন তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঢেকে ফেলবে। জাহান্নামীদের শরীরের ঘাম তাদেরকে পান করতে বাধ্য করা হবে। ” [সুনানে তিরমিজি – ২৪৯২, আলবানী সহিহ তিরমিজি গ্রন্থে – ২০১৫ এ হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলেছেন]

তিন: অহংকারের নানান রূপ রয়েছে:

১. সত্যকে গ্রহণ না করা; অন্যায়ভাবে বিতর্ক করা। যেমনটি আমরা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের হাদিসে উল্লেখ করেছি। “অহংকার হচ্ছে- সত্যকে উপেক্ষা করা এবং মানুষকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা।”

২. নিজের সৌন্দর্য্য, দামী পোশাক ও দামী খাবার ইত্যাদি দ্বারা অভিভূত হয়ে পড়া এবং মানুষের উপর দাম্ভিকতা ও অহংকার প্রকাশ করা। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অথবা আবুল কাসেম বলেছেন: “একদা এক ব্যক্তি হুল্লা পরে, আত্মম্ভরিতা নিয়ে, মাথা আঁচড়িয়ে হাঁটছিল এমতাবস্থায় আল্লাহ তাকে সহ ভূমি ধ্বস করে দিলেন এবং এভাবে কিয়ামত পর্যন্ত সে নীচের দিকে যেতে থাকবে। ” [সহিহ বুখারি – ৩২৯৭ ও সহিহ মুসলিম – ২০৮৮]

এ ধরণের অহংকারের মধ্যে ঐ ব্যক্তির আচরণও পড়বে যার ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “সে ফল পেল। অতঃপর কথা প্রসঙ্গে সঙ্গীকে বললঃ আমার ধন-সম্পদ তোমার চাইতে বেশী এবং জনবলে আমি অধিক শক্তিশালী।” [সূরা কাহাফ, আয়াত: ৩৪]

কখনো কখনো আত্মীয়স্বজন ও বংশধরদের নিয়ে গৌরবের মাধ্যমেও অহংকার হতে পারে.

চার: অহংকার প্রতিরোধ করার উপায় হল- নিজেকে অন্য দশজন মানুষের মত মনে করা। অন্যসব লোককে নিজের সমতুল্য মনে করা। তারাও এক বাপ-মা থেকে জন্মগ্রহণ করেছে। যেভাবে আপনিও এক বাপ-মা এর ঘরে জন্মগ্রহণ করেছেন। আর আল্লাহভীতি ব্যক্তির মর্যাদা পরিমাপের মানদণ্ড। আল্লাহ তাআলা বলেন: “নিশ্চয় তোমাদের যে ব্যক্তি বেশি তাকওয়াবান সে আল্লাহর নিকট বেশি সম্মানিত।” [সূরা হুজুরাত, আয়াত: ১৩]

অহংকারী মুসলিমের জানা থাকা উচিত সে যতই বড় হোক না কেন পাহাড় সমান তো আর হতে পারবে না; জমিন ছিদ্র করে তো বেরিয়ে যেতে পারবে না। যেমনটি আল্লাহ তাআলা বলেছেন: “অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না এবং পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না। পদচারণায় মধ্যবর্তিতা অবলম্বন কর এবং কণ্ঠস্বর নীচু কর। নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর। ” [সূরা লোকমান, আয়াত: ১৭-১৮]

ইমাম কুরতুবী বলেন: “পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণ করো না” এখানে অহংকার থেকে বারণ করা হয়েছে এবং বিনয়ী হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আয়াতে المرح শব্দের অর্থ- তীব্র আনন্দ। কেউ কেউ বলেছেন: হাঁটার মধ্যে অহংকার করা, কেউ বলেছেন: কোন মানুষের তার মর্যাদার সীমা অতিক্রম করে যাওয়া।

কাতাদা বলেছেন: হাঁটার ক্ষেত্রে অহংকার। কেউ কেউ বলেছেন: প্রত্যাখান। কেউ কেউ বলেছেন: উদ্যম।

এ উক্তিগুলো সমার্থবোধক। কিন্তু এগুলো দুইভাগে বিভক্ত:

একটি: নন্দিত অপরটি: নিন্দিত।

অহংকার, প্রত্যাখান, দাম্ভিকতা এবং কোন মানুষের তার সীমা অতিক্রম করা: নিন্দিত।

আর আনন্দ ও উদ্যমতা: নন্দিত। [ তাফসিরে কুরতুবী ১০/২৬০]

অহংকার প্রতিরোধ করার আরেকটি উপায় হলো- এটি মনে রাখা যে, অহংকারীকে কিয়ামতের দিন পিঁপড়ার ন্যায় ছোট করে হাশর করা হবে মানুষের পায়ের নীচে মাড়ানো হবে। অহংকারী মানুষের নিকট অপছন্দীয় যেমনিভাবে সে আল্লাহর নিকটও অপছন্দনীয়। মানুষ বিনয়ী, নম্র, ভদ্র, সহজ, সরল মানুষকে ভালবাসে। আর কঠিন ও রুঢ় স্বভাবের মানুষকে ঘৃণা করে।

অহংকার প্রতিরোধ করার আরেকটি উপায় হলো- অহংকারী যে পথ দিয়ে বের হয়েছে পেশাবও সে পথ দিয়ে বের হয়। তার সৃষ্টির সূচনা হয়েছে নাপাক বীর্য থেকে। তার সর্বশেষ পরিণতি হচ্ছে- পচা লাশ। এ দুই অবস্থার মাঝখানে সে পায়খানা বহন করে চলছে। সুতরাং অহংকার করার মত কী আছে?!!

আমরা আল্লাহর নিকটে প্রার্থনা করছি তিনি যেন আমাদেরকে অহংকার থেকে মুক্তি দেন এবং আমাদেরকে বিনয় দান করেন।

আল্লাহই ভাল জানেন।

শীতে জুতো পরলে মোজায় গন্ধ! সমাধানে ঘরোয়া টিপস

 শীত পড়েছে, মোজা দিয়ে জুতো পরাই এখন যথাযথ। কিন্তু, জুতো মোজা পরলে অনেকেরই পায়ে গন্ধ হয়। অফিসে বসে পা ঘেমে গেলেও জুতো খুলতে পারেন না ভয়ে। এই সব পরিস্থিতির সামনাসামনি হয়ে খুবই অস্বস্তিতে পরছেন, কী উপায়ে মুক্তি পাবেন, সেটাও বুঝতে পারছেন না। এরকম সমস্যায় জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টিপস যা আপনাকে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করবে।

জেনে নিন টিপসগুলো-

১) শীতকালেও অনেকের পা ঘেমে যায়। তাই পায়ের যত্ন নিন সবার আগে। প্রতিদিন রাতে বাড়ি ফিরে উষ্ণপানিতে লবণ দিয়ে পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ভালো করে মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।

২) মোজা প্রতিদিন ধুয়ে নিন। পারলে ডেটল পানি ব্যবহার করুন। কিংবা একাধিক মোজা কিনে মাঝে মধ্যে বদলে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা মিটবে।

৩) ভুলেও গন্ধ মোজায় পারফিউম স্প্রে করবেন না। এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে।

৪) মোজা পরার আগে ভালো করে পা ধুয়ে নিন। একটু বেকিং সোডা হাতে নিয়ে ভালো করে পায়ে ঘষে নিন। দেখবেন এতে সমস্যা দূর হবে।

৫) বাড়িতে ফিরে জুতোর মধ্যে কিছুটা পরিমাণ কাগজ ঢুকিয়ে রাখুন। এতে জুতোর মধ্যে হওয়া দুর্গন্ধ দূর হবে।

৬) সপ্তাহে একবার জুতো রোদে দিন। এতে জুতোও ভালো থাকবে এবং দুর্গন্ধও হবে না। প্রয়োজনে জুতোর মধ্যে ন্যাপথোলিন রাখতে পারেন।


দাম্পত্য অটুট রাখতে পাঁচ দম্পত্তির সিক্রেট মন্ত্র

 দাম্পত্য জীবনে সুখ প্রত্যাশা করেন সবাই। বিবাহিত জীবনের সুখ-শান্তির জন্য সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী সম্ভাব্য সবকিছু করার চেষ্টা করেন। দুই পক্ষকেই সামঞ্জস্য এবং সমন্বয় করতে হয়। কিন্তু যদি শুধু একজনের ঘাড়ে সবকিছুর দায়িত্ব এসে পড়ে, তাহলে সেই দাম্পত্য জীবন সুখকর হয় না। বিয়ের মাধ্যমে দুটি মানুষ জীবনের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে থাকে। প্রেমের আবেগপূর্ণ মুহূর্তগুলোর সঙ্গে বিয়ের পরের কঠিন বাস্তবতার অনেক পার্থক্য রয়েছে। সংসার জীবনে সুখী হতে গেলে আপনাকে বিয়ের পর এমন কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে যেগুলো হয়ত সম্পর্কটাকে সারাজীবন মজবুত রাখতে সাহায্য করবে।

অনেকেই বলেন, সম্পর্কের পুরনো হলে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীর সঙ্গে নাকি দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। কিন্তু প্রত্যেক দম্পতির গল্পই কি এক, নাকি কোনও কোনও দাম্পত্যে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র! হয়তো ৫০ পেরলেও তাদের সম্পর্কে রোম্যান্সের কোনও ঘাটতি হয় না। কী সেই সিক্রেট?

জেনে নিন ৫ দম্পতির সেই গল্প থেকেই-

দাম্পত্যে সম্মান থাকা জরুরি-
আমাদের দাম্পত্যের ২২ বছর হয়ে গেল। কখনও কখনও অনেক বড় অশান্তিও হয়েছে। কিন্তু কোনওদিন রাগের মাথায় একে অপরকে অসম্মান করিনি। নোংরা ভাষায় আক্রমণ করিনি। এই নিয়মটা আমরা প্রথম থেকেই মেনে এসেছি। তাই বয়স ৫০ পেরিয়ে গেলেও আমাদের বন্ধুত্ব এখনও অটুট। আর আমার স্ত্রী আজও আমাকে চোখে হারান।

একে অপরের স্বপ্নপূরণের সঙ্গী-
দাম্পত্যে রোম্যান্স বজায় রাখার জন্যে একে অপরের প্রাইভেসিকে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। আমরা যে আলাদা দুজন মানুষ, সেই কথাটি কোনওদিন ভুলিনি। বরং সব সময় নিজস্বতাকে গুরুত্ব দিয়েছি। তার স্বপ্নপূরণের পথে পাশে থেকেছি, আবার আমার দুঃসময়েও তাকে পাশে পেয়েছি।

এক্সপেরিমেন্ট করতে ভুলিনি-
অনেকে এই কথাটি এড়িয়ে গেলেও আমরা সেই ভুলটি করিনি। দাম্পত্যে সঙ্গীকে খুশিও করতে হবে আমাদের। একে অপরের ইচ্ছে-পছন্দগুলো মিলে গেলেই সম্পর্কটা যে আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠবে, সে কথা আর বলে দেওয়ার অপেক্ষা রাখে না। আমরা সব সময়ে নানারকম এক্সপেরিমেন্ট করেছি। আজও আমাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা অটুট রয়েছে। আসলে ভালোবেসে সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরে কপালে ঠোঁট ছুঁয়ে দেওয়ায় যে ভরপুর রোম্য়ান্স রয়েছে, তা অনেকেই ভুলে যান হয়ত।

একে অপরকে সময় দিয়েছি-
আমি এবং আমার স্ত্রী দুজনেই চাকরিরত। আর কয়েক বছর পরে আমরা চাকরি জীবন থেকে অবসর নেব। আজকাল শুনি যে, ‘সময়ের অভাবে সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে!’ একে অপরকে সময় দেওয়া নাকি সম্ভব হচ্ছে না। তবে আমরা চাকরি সামলেছি। সংসারের দায়িত্ব নিয়েছি। ছেলে-মেয়েকে বড় করেছি। এত কিছু করার পরেও প্রতিদিন একে অপরকে সামান্য সময় দিতে ভুলিনি। দিনে ১০ মিনিট সময়ও আমাদের সম্পর্কটাকে আজও নতুনের মতো রেখেছে।

প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছি-
সঙ্গীর সঙ্গে সুখে থাকার জন্যে তাকে আপন করে নেওয়া জরুরি। যেমন তার ভালো দিকগুলোর প্রশংসা করতে হয়, তেমনই তার খারাপ বিষয়গুলোকেও গ্রহণ করতে হয়। আমি আমার স্ত্রীকে প্রাণ দিয়ে ভালোবেসেছি। তার ভালো দিকগুলো গ্রহণ করেছি, সঙ্গে মেনে নিয়েছি তার ভুল-ত্রুটিও।

বয়স ৫০ পেরল, আমরা একে অপরের বন্ধু হতে পেরেছি বলেই হয়তো আজও একসঙ্গে রয়েছি।


ক্যানসারের কাছে হার মানলেন বাংলাদেশি ক্রিকেটার

 মাত্র ২৪ বছর বয়সেই মরণব্যাধি ক্যানসারের কাছে হার মানলেন ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগের অলরাউন্ডার আব্দুল আলিম হৃদয়।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হৃদয়। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবি জানিয়েছে, গোপীবাগ ফ্রেন্ডস অ্যাসোসিয়েশন ক্লাবের হয়ে ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগে ক্রিকেট খেলতেন বাঁ-হাতি অলরাউন্ডার হৃদয়। তিনি আজ মারা গেছেন। ব্লাড ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার পাশাপাশি চলতি মৌসুমেও ক্লাবের হয়ে সাতটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তার মৃত্যুতে বিসিবি গভীর সহানুভূতি ও পরিবারের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে জাতীয় দলের অলরাউন্ডার সাইফ উদ্দিনের দাবি, কিছুদিন আগে ঢাকায় আসার পর ডেঙ্গু আক্রান্ত হন হৃদয়। এরপর তার শরীরে ক্যানসার হানা দেয়।

হৃদয়ের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে সাইফ লেখেন, ছোট ভাই হৃদয় আমাদের মাঝে আর নেই। অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ খেলতে ঢাকায় অবস্থান করেছিল, ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে পরবর্তীতে ব্লাড ক্যানসার এবং ব্রেন স্ট্রোক করে আজকে (২৯ নভেম্বর) মারা যায়।

অন্যদিকে তরুণ এই ক্রিকেটারের মৃত্যুর কারণ হিসেবে ঢাকার পরিবেশকে দায়ী করেন দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের বাইরে থাকা সাইফ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার (সাইফ) মন্তব্য, বসবাস করার জন্য ঢাকা অযোগ্য শহর, মানুষের স্বাস্থ্য-সুরক্ষা একদম নেই বললেই চলে। কিছুদিন আগে ছেলেটা বিয়ে করেছিল, কত স্বপ্ন ছিল তার পরিবার নিয়ে বাঁচার। কিন্তু নিয়তি তাকে আর থাকতে দিল না। ক্ষণস্থায়ী জীবনের জন্য আমরা কত কিছুই না করি, তা-ও আমাদের সিস্টেম চেঞ্জ হবে না। ভালো থাকিস ওপারে।

১৬ বছরের সংসার জীবনের ইতি, আনন্দে ২০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল

 সংসার জীবন নিয়ে অভিযোগ নেই এমন মানুষের সংখ্যা নেহাতই কম। অনিচ্ছা সত্ত্বেও সংসারের ঘানি টানতেই থাকেন একজন পুরুষ। এবার সেই সংসার জীবন থেখে মুক্তি পাওয়ার আনন্দে ২০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করেছেন আব্দুল হান্নান মিয়া। ১৬ বছরের সংসার জীবনের ইতি ঘটায় এমন পদক্ষেপ নেন তিনি

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজ বাড়িতে দুধ দিয়ে গোসল করেন আব্দুল হান্নান মিয়া। এ ঘটনায় এলাকাজুড়েই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আব্দুল হান্নান মিয়া (৪০) ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের মধ্যে উড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। এর আগে প্রায় ৫ বছর প্রবাসে ছিলেন তিনি।

জানা গেছে, ১৬ বছর আগে আয়শা বেগমকে বিয়ে করেন আব্দুল হান্নান। তাদের ১৫ ও ১২ বছরের দুই ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ ছিল। এই কলহের জেরে সম্প্রতি তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যায়। এরপর আদালতে গিয়ে তার স্ত্রী এফিডেভিটের মাধ্যমে হান্নান মিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটায়। আইনগতভাবে এই বিচ্ছেদ হওয়ায় আব্দুল হান্নান ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

দুধ দিয়ে গোসলের সময় তিনি বলেন, দীর্ঘ সংসার জীবনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছি। এ কারণে ২০ লিটার দুধ দিয়ে গোসল করে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলাম।

মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩

মারামারি করে স্বামীর কান কামড়ে ছিঁড়ে নিলেন স্ত্রী

 ঝগড়ার পর মারামারি। এর একপর্যায়ে স্বামীর কান কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছেন স্ত্রী।চিকিৎসার পর পুলিশে এমন অভিযোগ করেছেন ভারতের দিল্লির সুলতানপুরি এলাকার এক যুবক। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।



৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি পুলিশকে জানায়, তার ডান কান কামড়ে ছিঁড়ে নেয়া হয়েছে। এখন কানে অপারেশন করাতে হবে। চিকিৎসার পরই তিনি পুলিশের কাছে এ অভিযোগ দায়ের করেন।

ভুক্তভোগী যুবক পুলিশকে জানান, গত ২০ নভেম্বর সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ময়লা ফেলতে বাড়ির বাইরে যান তিনি। এ সময় স্ত্রীকে ঘর পরিস্কার করতে বলে যান। পরে বাসায় ফিরলে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মারামারি শুরু করে। একপর্যায়ে কান কামড়ে ছিঁড়ে নেয়।

তার অভিযোগ, বাড়ি বিক্রির জন্য স্ত্রী চাপ দিচ্ছিল এবং সেই অর্থের ভাগ তাকে দেয়ার জন্য জোর করছিল। কারণ সে সন্তানদের নিয়ে আলাদা থাকতে চায়।

পুলিশ জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


ডেঙ্গুতে প্রাণ হারানো সেই ইলা পেলেন জিপিএ-৫

ফেনীতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মাহাদিয়াত রহমান ইলা (১৮) জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) প্রকাশিত ফলাফলে জানা যায় এ তথ্য। তার এ ফলাফল দেখে নির্বাক মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা।

জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষা শেষে ঢাকায় থেকে মেডিকেল কলেজে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ইলা। গত ৭ নভেম্বর জ্বরে আক্রান্ত হলে তিনি ঢাকা থেকে ফেনীতে চলে আসেন। ৯ নভেম্বর তার ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। এরপর এক চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে ফেনী সদরে নিজ বাড়িতে থেকে মাহাদিয়াতের চিকিৎসা চলছিল। ১০ নভেম্বর রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরদিন ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির ঘণ্টাখানেক পরই তার মৃত্যু হয়।

ইলা ফেনীর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের একমাত্র মেয়ে। মেয়ের ফলাফলের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

মিজানুর রহমান কান্নজাড়িত কণ্ঠে জানান, মাহাদিয়াতের স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হবে। কিন্তু ডেঙ্গু সব স্বপ্ন কেড়ে নিয়ে গেল। আমার মেয়ে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে এসএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়েছিল।


বিতর্ক শেষ না হতেই নতুন খবর দিলেন তিশা

 বেশ কিছুদিন ধরেই আত্মহত্যার চেষ্টা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়ানোর কারণে খবরের শিরোনামে রয়েছেন অভিনেত্রী তানজিন তিশা। যদিও আত্মহত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি বাজে আচরণের জন্য সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমাও চান তিনি। সেই বিতর্ক শেষ হতে না হতেই এবার নতুন খবর দিলেন তিশা।

শিগগিরই নতুন একটি নাটকে দেখা যাবে তিশাকে। ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প নিয়ে নির্মিত নাটক ‘ভালোবাসি তবুও’। ইতোমধ্যে নাটকটির ট্রেলার প্রকাশিত হয়েছে নেটদুনিয়ায়। পাশাপাশি তিশা নিজেও নাটকের ট্রেলারটি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। নাটকে অভিনেত্রীর সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তৌসিফ মাহবুব।

রোববার (২৬ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নাটকটির পোস্টার এবং কয়েকটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিশা।


ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, একটি ইউটিউব চ্যানেলে খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে নাটকটি। প্রবীর রায় চৌধুরীর লেখা নাটকটি নিয়ে বেশ আশাবাদী তিশা।

ওই ট্রেলারে দেখা যায়, তিশার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন তৌসিফ। শুরুতে বেশ রোমাঞ্চকর মুহূর্তে দুজনে ধরা দিলেও শেষের দিকে ব্যাপক অ্যাকশন রয়েছে। যেখানে একজনকে মারধর করতে দেখা যায় তৌসিফকে।

দিন দুয়েক আগেই বিনোদন সাংবাদিকদের সঙ্গে ঝামেলায় পড়েন তিশা। একটি খবরের সত্যতা যাচাইয়ে বিনোদন সাংবাদিক তিশাকে মেসেজ করলে তার ফোনে কল করে গণমাধ্যমকর্মীদের ‘উড়িয়ে’ দেওয়ার হুমকি দেন এই অভিনেত্রী।

এরপর তিশার বিরুদ্ধে সমাবেশ করেন গণমাধ্যমকর্মীরা। পরে গত ২৫ নভেম্বর অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিমকে সঙ্গে নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চান তিনি।


আরাভ খানের প্রযোজনায় রাখির সঙ্গে জুটি বাঁধছেন হিরো আলম

 বলিউডের ড্রামা কুইন খ্যাত অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত ও বাংলাদেশের আলোচিত-সমালোচিত সোশ্যাল তারকা হিরো আলমকে একসঙ্গে পর্দায় দেখা যাবে। শিগগিরই ‘গ্যাংস্টার’ নামের একটি সিনেমায় জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সকালে দেশের একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিরো আলম। পাশাপাশি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে রাখি ও আরাভ খানের সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি। সিনেমাটি আরাভ খান প্রযোজনা করবেন বলে জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে হিরো আলম বলেন, আমি বলিউডে কাজ করতে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে বলিউডের রাখি সাওয়ান্ত কাজ করবেন। সিনেমাটি প্রযোজনা করবেন আরাভ খান।

তিনি আরও বলেন, আসন্ন নির্বাচনের পর সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। দুবাইসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে শুটিং হবে। সিনেমাটি বাংলাদেশেসহ কয়েকটি দেশে মুক্তি পাবে।

ওই ভিডিওতে রাখি সাওয়ান্ত ও হিরো আলমকে একসঙ্গে দেখা যায়। যেখানে রাখি চিৎকার করে বলেন, দেখো সালমান ভাই, বলিউডে নতুন নায়ক নিয়ে আসছি।

ভিডিওতে আরাভ খান বলেন, হিরো আলমকে নিয়ে আমি বলিউডে সিনেমা বানাব। আর সিনেমাটি নির্মাণে যত টাকা লাগে আমি দেব। ভারত, দুবাই ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর শুটিং হবে।

বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন হিরো আলম। সেখানে আরাভ খানের একটি মোবাইল ফোনের শোরুম উদ্বোধন করেছেন তিনি।


রবিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৩

৪ ছেলে ৮ মেয়ের মা হবেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি!

পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলি। বর্তমানে স্বামী রাজ চক্রবর্তী ও ছেলে ইউভানকে নিয়ে বেশ সুখেই দিন পার করছেন এই অভিনেত্রী। আবারও সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন শুভশ্রী। তবে অভিনেত্রীর নাকি ৪ ছেলে ও ৮ মেয়ের মা হবেন। সম্প্রতি এমন খবরে রীতিমতো হতবাক শুভশ্রী ভক্তরা।


 

জানা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই ‘ড্যান্স বাংলা ড্যান্স’র বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শুভশ্রী। রোববার (২৯ অক্টোবর) রিয়েলিটি শোয়ের গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠিত হয়। আর ওই প্রতিযোগিতার সেটেই ৩ বিচারক নিয়ে ভবিষ্যতবাণী করেন কেকে ও সাকী।

শুভশ্রীকে উদ্দেশ্য করে সাকী বলে, আজ থেকে ১৫ বছর পর অভিনেত্রীর সুন্দর একটা বাড়ি হবে। যাতে রাজ-শুভশ্রীর সঙ্গে থাকবে তাদের দুষ্টু-মিষ্টি ৪ ছেলে আর গোলুমোলু ৮ মেয়ে।

সাকীর মুখে এমন কথা শুনে বিস্মিত হয়ে যান শুভশ্রী। পাশ থেকে মিঠুন চক্রবর্তী বলে ওঠেন, ওটা তো আর বাড়ি থাকবে না। আর এই কথা শুনে হাসতে থাকেন শুভশ্রী।

জানা গেছে, টালিউডের জনপ্রিয় নির্মাতা রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ২০১৮ সালের ৬ মার্চ বাগদান সারেন শুভশ্রী-রাজ। একই বছরের ১১ মে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করেন তারা। ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর তাদের ঘর আলো করে জন্ম নেয় পুত্র ইউভান। বর্তমানে তার বয়স এখন ২ বছর ৯ মাস।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

এবার ৭০ বছর বয়সী নেত্রী রূপে ধরা দিলেন লুবাবা

 সিমরিন লুবাবার, সংস্কৃতিমনা পরিবারে জন্ম। তার দাদা প্রখ্যাত মঞ্চ ও টেলিভিশন অভিনেতা আব্দুল কাদের। দাদার অনুপ্রেরণায় খুব ছোট বয়সে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ায় ছোট্ট লুবাবা। সে থেকে শিশুশিল্পী হিসেবে তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। নিয়মিতই কাজ করে যাচ্ছে বিজ্ঞাপন, নাটক ও সিনেমায়। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ৭০ বছর বয়সী নেত্রী রূপে হাজির হয়েছেন লুবাবা।

এই শিশুশিল্পীকে নিয়ে ‘একটি বাংলাদেশ’ নামের ডকুফিল্ম তৈরি হয়েছে। নির্মাতা রানা বর্তমানের পরিচালনায় এটি প্রযোজনা করেছেন মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সম্প্রতি রাজধানীর রমনা পার্কে এর দৃশ্যধারণ সম্পন্ন হয়েছে।

এ বিষয়ে লুবাবার মা জাহিদা ইসলাম বলেন, আমার মেয়ে এবারই প্রথম এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করল। শুধু তাই নয়, এবারই প্রথম অভিনয়ে লুবাবা শাড়ি পরেছে। এমনকি প্রধান চরিত্রেও কাজ করেছে। সব মিলিয়ে, ভালো একটি কাজ আসছে বলে আশা করছি।

নির্মাতা রানা বর্তমান বলেন, চরিত্রের প্রয়োজনেই লুবাবাকে এমন লুক নিতে হয়েছে। একজন শিশুশিল্পীকে বৃদ্ধার রূপে তুলে আনাটা খুব কঠিন। আমি চেষ্টা করেছি, সেখান থেকে নতুন কিছু করার। এতে বিভিন্ন বয়সের লুকে দেখা যাবে তাকে। তবে ওর চরিত্রটি নিয়ে এখন কিছু বলতে চাই না। গল্পে দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নের কথা বলা হয়েছে।

জানা গেছে, ডকুফিল্মটি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত একটি চলচ্চিত্র উৎসবেও এটি প্রদর্শনের কথা রয়েছে।


পিএসএলের ড্রাফটে ২৮ বাংলাদেশি, সর্বোচ্চ ক্যাটাগরিতে সাকিব

 সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে শুরু হয় পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) আসর। প্রায় মাসব্যাপী চলে জনপ্রিয় এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। আগামী বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩ মার্চ টুর্নামেন্টটির নবম আসর মাঠে গড়াতে পারে। আর নিলাম অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১৪ ডিসেম্বর।

এবার পিএসএলের ড্রাফটে মোট ৪৯৩ জন বিদেশি খেলোয়াড়কে রাখা হয়েছে। এই তালিকায় আছেন ২৮ জন বাংলাদেশি খেলোয়াড়। সবচেয়ে দামি প্লাটিনাম ক্যাটাগরিতে আছেন একমাত্র টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এ ক্যাটাগরির ভিত্তিমূল্য ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় দেড় কোটি টাকা)।

এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ডায়মন্ড ক্যাটাগরিতে আছেন তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাসকিন আহমেদ। তাদের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৬০ হাজার ডলার (প্রায় ৬৬ লাখ টাকা)।

পিসিএলের গেল আসরটা অবশ্য সুখকর ছিল না সাকিবের জন্য। পেশোয়ার জালেমির হয়ে মাত্র একটি ম্যাচে খেলতে পেরেছিলেন সাকিব। স্ত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় পাকিস্তান থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে উড়াল দিতে হয় তাকে।

পিএসএলে এর আগে আরও দুটি আসরে খেলেন সাকিব। ২০১৭ সালে এই পেশোয়ারের হয়েই খেলেছিলেন তিনি। এর আগে খেলেছিলেন করাচি কিংসের হয়ে। এবারও সাকিবের পিএসএলে পুরো আসর খেলার সম্ভাবনা কম।

গতবারের মতো এবারও বিপিএলের সঙ্গে সাংঘার্ষিক পিএসএলের সূচি। তার ওপর বিপিএলের পরপরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুই টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে জানুয়ারির শেষ দিকে শুরু হতে পারে বিপিএল।


কোন বোর্ডে পাসের হার কত

 ২০২৩ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এ বছর ৯টি সাধারণ, মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল সোয়া ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফল হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এখনো চূড়ান্ত ফলাফল না পাওয়া গেলেও জানা গেছে কয়েকটি শিক্ষাবোর্ডের পাসের হার।

ফলাফলে দেখা যায়, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৭৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৮০ দশমিক ৬৫ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৭৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বোর্ডে ৭৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ, যশোরে পাসের হার ৬৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সিলেট বোর্ডে ৭৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও দিনাজপুর বোর্ডে ৭০ দশমিক ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছেন।

সব শিক্ষাবোর্ড মিলিয়ে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় মোট পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৭ হাজার ৮৫২ জন পরীক্ষার্থী। শুধু ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এ ছাড়া মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। কারিগরি বোর্ডে পাসের হার ৯১ দশমিক ২৫ শতাংশ।

এবার দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া সাড়ে ১৩ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৯২ হাজার ৩৬৫ জন।

এর আগে, সকাল ১০টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন।

গণভবনে আয়োজিত ফলপ্রকাশ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

চলতি বছর ৮টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয় ১৭ আগস্ট; আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে যাওয়া তিনটি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা (চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড) শুরু হয় ২৭ আগস্ট। এবার পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে আইসিটিতে ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৭৫ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

পরীক্ষার ফল জানবেন যেভাবে :
শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বা মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন। এর জন্য মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC লিখে স্পেস দিয়ে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে আবার স্পেস দিয়ে পাসের বছর লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে।

উদাহরণস্বরূপ- HSC DHA ১২৩৪৫৬ ২০২৩ লিখে পাঠাতে হবে ১৬২২২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএসে জানা যাবে এইচএসসি পরীক্ষার ফল।

আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।

এ ছাড়া www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করা যাবে।

বেতনভুক্ত পকেটমার, মাসে বেতন ৮০ হাজার!

 পকেটমারের জন্য মাস চুক্তিতে দেওয়া হয় বেতন। তাও অল্পস্বল্প নয়, দেওয়া হয় ২০-৮০ হাজার টাকা। আছে অন্য সুযোগ-সুবিধাও। পকেটমারদের নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের মালদা পুলিশের কাছে।

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মালদার মানিকচকের গঙ্গার ওপারে রয়েছে ঝাড়খণ্ডের রাজমহল থানার মহারাজপুর গ্রাম। সাদা পোশাকে সেই গ্রামে গিয়ে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। মানিকচক থানায় পোস্টিং থাকার সময় তিনি এক কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামে যান। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন বেতন পাওয়া পকেটমারদের কথা।

ঝাড়খণ্ডের এই মোটা বেতনের পকেটমারদের কথা জানতে পেরে অবাক হন মালদার ওই পুলিশ আধিকারিক। সেখানকার এক গাড়ি চালকের কাছ থেকে তিনি পুরো বিবরণ জানতে পারেন। সেখানেই জানতে পারেন ঝাড়খণ্ডের ওই পকেটমার গ্যাংদের কথা।

সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০-৮০ হাজার টাকা বেতনের পকেটমার রয়েছে ঝাড়খণ্ডের ওই গ্রামে। এমনকি নাবালকদের এই পেশায় বেশি চাহিদা। কারণ তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের মায়া একটু বেশি থাকে। ধরা পড়ে গেলেও তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসতে পারে। এমনকি জনতা ধরে ফেললেও মারধর কম পড়ে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এ রাজ্যে যে মোবাইল চুরি হয় তা চলে যায় মহারাজপুরে। তারপর তা প্যাকেটে ভরে মালদা হয়ে পাচার হয় বাংলাদেশে। যত ঝকঝকে মোবাইল তত তার চাহিদা।

জানা গেছে, গাড়ি-বাড়িও আছে পকেটমারদের। টার্গেট দিয়ে কাজ করানো হয়। বেতন নিয়ে কোনো টালবাহানার ব্যাপার নেই। ইনসেনটিভও আছে।


শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩

মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৭৫ শতাংশ

 এইচএসসি ও সমমানের ২০২৩ সালের ফলা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে গণভবন থেকে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। চলতি বছর বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯০ দশমিক ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। রোববার (২৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও স্ব-স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফল থেকে এ তথ্য জানা যায়।

গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৯২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। সেই হিসাবে আলিমে পাসে হার প্রায় এক দশমিক ৮১ শতাংশ কমেছে।

জানা গেছে, এ বছর মাদরাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ১৩৯ জন পরীক্ষার্থী আলিম পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৮৬ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে গণভবনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

দুপুর ২টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বোর্ডগুলোর সমন্বিত ওয়েবসাইটে (www.educationboardresults.gov.bd) ঢুকে পরীক্ষার্থীর রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর টাইপ করতে হবে। এরপর পরীক্ষার্থীর ফল পাওয়া যাবে।

শিক্ষার্থীরা রেজাল্ট শিট ডাউনলোড করতে পারবেন এই ওয়েবসাইট থেকে। তা করতে চাইলে সমন্বিত ওয়েবসাইটের রেজাল্ট কর্নারে ক্লিক করে থেকে ফলাফল ডাউনলোড করা যাবে।

এসএমএস-এর মাধ্যমে যেভাবে জানা যাবে :

মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। এইচএসসির ফল জানতে HSC লিখে স্পেস দিয়ে শিক্ষা বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আসবে ফল।

একইভাবে আলিমের ফল পেতে ALIM লিখে স্পেস দিয়ে Mad লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

আর কারিগরি বোর্ডের ক্ষেত্রে HSC লিখে স্পেস দিয়ে Tec লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০২৩ লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠালে ফিরতি এসএমএসে ফলাফল জানানো হবে।

এ বছর এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ১১টি শিক্ষা বোর্ডের দুই হাজার ৬৫৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ছিল ১৩ লাখ ৫৯ হাজার ৩৪২ জন। তাদের মধ্যে ছাত্র সংখ্যা ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৮৭ এবং ছাত্রী ৬ লাখ ৭০ হাজার ৪৫৫ জন।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এবার মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ৮ হাজার ৫৯৪ জন। যাদের মধ্যে বিজ্ঞানের ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫১২ জন, মানবিকের ৬ লাখ ৪০ হাজার ৮৭৬ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষার ২ লাখ ১২ হাজার ২০৬ জন। মাদরাসা বোর্ড থেকে ৯৮ হাজার ৩১ জন ও কারিগরি বোর্ড থেকে ১ লাখ ৫২ হাজার ৭১৭ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়।

করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এবারই পূর্ণ নম্বর ও পূর্ণ সময়ে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কেবল তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে ৭৫ নম্বরে পরীক্ষা হয়েছে।

রোজা যে তারিখ থেকে শুরু হতে পারে

ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম মাস রমজান। এই মাসে মুসলমানরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখেন। আর মাত্র তিন মাস পরেই শুরু হতে যাচ্ছে রহমত, বরকত ও...